গাংনীর ধর্মচাকী কমিউনিটি ক্লিনিক ক্লিনিক এ স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি
গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী কমিউনিটি ক্লিনিক এখন স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত প্রতিষ্ঠানের নাম। ক্লিনিক প্রোভাইডরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্লিনিক প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) শিরিনা আক্তার ঠিকমতো ক্লিনিকে আসেন না।
নানা অযুহাতে মাসে ১৫ দিনও অফিস করেন না। অফিসে প্রায়শঃ দেরী করে সকাল ৯ টার পরিবর্তে সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে আসে।আবার অফিসে আসলেও কোনদিনও যথাসময়ে অর্থ্যাৎ ৩ টা পর্যন্ত থাকেন না। দুপুর ১২-১ টার মধ্যে অফিস বন্ধ করে চলে যায়। এরকম অভিযোগ স্থানীয়দের। এনিয়ে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ধর্মচাকী কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকার মনোয়ারা খাতুন, ছামিউল্লাহ জানায়, আমরা ক্লিনিকে আসলে আমাদের কোনদিনও ওষুধ দেয় না। শুধু ওষুধ নাই বলে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।
একই গ্রামের বিডি স্কুল পাড়ার নাসিমা খাতুন, প্রাইমারী স্কুল পাড়ার জইগুন নেছা একইরকম অভিযোগ তুলে বলেন, ওষুধ তো দেয়ই না। উপরন্তু আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। পার্শ্ববর্তী ভোমরদহ গ্রামের ফড়– মিয়া ৩-৪ দিন ধরে অপেক্ষা করে ঘুরেও ওষুধ পাননি।স্কুল ছাত্র (৫ম শ্রেণি) নাইমুল ইসলাম বলে আমি দাদির জন্য গ্যাসের ট্যাবলেট (ওষুধ) নিতে গেলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। গ্রামের অনেকেই জানায় ,এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আসলে ভাল ভাল ওষুধ সরবরাহ করে কিন্তু আমরা গরীব, সাধারণ মানুষ ওষুধ নিতে গেলে ওষুধ নেই বলে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ এমনকি গালি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। রোগী প্রতি ২ টাকা করে নিয়ে থাকে।গরীব অসহায় মানুষ টাকা না দিতে পারলে কোন ওষুধ দেয় না।
আমরা ক্লিনিকে গেলে আমাদের ঘরে উঠতে বা বসতে দেয় না। আরো জানা গেল, খারাপ আচরণ করায় ধর্মচাকী গ্রামের বানিয়া খাতুনসহ কয়েকজন মহিলা গত বছর দু’য়েক আগে শিরিনা আক্তারকে মারপিট করেছিল।
একইভাবে ক্লিনিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী (স্বেচ্ছাসেবিকা) ফরকুন নেছা জানায়, আমি গরীব অসহায় মহিলা। মেম্বরের অনুরোধে আমাকে মাত্র ৩শ’ টাকার বিনিময়ে ঝাড়– সহ অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার কাজ করিয়ে নেয়। আমি কোন কারণে একদিন না আসলে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে । আমাকে কাজে রাখবে না বলে বার বার ভয়ভীতি দেখায়।
ক্লিনিক প্রোভাইডর শিরিনা আক্তার জানায়, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য ন্য়। আমি সকলকে ওষুধ দিই। অফিসে ঠিকমতো আসেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে শিরিনা বলে, অফিসের কাজের কারণে কোন কোন দিন দেরি হয়।
এনিয়ে ই্উনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী ক্লিনিক সুপারভাইজার নাজমুল হুসাইন জানান, শিরিনার ব্যাপারে কেউ কোন দিন অভিযোগ দেয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে শিরিনাকে সেভ করতে নানা অযুহাত তুলে ধরেন।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানায়, আপনাদের মাধ্যমে আমি অনেক অভিযোগ পেয়ে থাকি। ক্লিনিকে ঠিকমতো না গেলে বা সেবা গ্রহিতাদের সাথে খারাপ আচরণ করলে শিরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।