গণভবনে চা-চক্রে যোগ দিয়েছেন নির্বাচনপূর্ব সংলাপে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
গণভবনে চা-চক্রে যোগ দিয়েছেন নির্বাচনপূর্ব সংলাপে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।
নির্ধারিত সময়ের আগেই গণভবনের সবুজ চত্বরে একে একে হাজির হোন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও শরিকদলগুলোর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আমন্ত্রণে গণভবনে যান।
বিকাল ৪টার কিছু পরে সবুজ চত্বরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকদল জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, সাম্যবাদী ছাড়াও বিকল্প ধারা, ইসলামী ঐক্যজোটসহ নির্বাচনের আগে যে ৭৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করেছিলেন তাদেরকেই এই চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সংলাপে অংশ নিলেও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এবার চা চক্রে যোগ দেয়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ পদস্থ কর্মকর্তারাও।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমুর হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নূরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরু।
অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাপা নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ (ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদ (আম্বিয়া) নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ যোগ দিয়েছেন চা-চক্রে।
এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) এমএ মান্নান, মাহী বি চৌধুরী এবং শমশের মুবীন চৌধুরী, বিএনএফ প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ১৪ দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এদিকে, অনুষ্ঠানস্থলকে আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি বাজানো হয় দেশের গান। আর অতিথিদের ফুচকা, চটপটি, পাঠিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, জিলাপি, কাবাব-রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
চা চক্রের আমন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গণভবনের ভেতরটা সাজানো হয় আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুসারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে চা চক্রের গল্প।