(দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশের উন্নয়নের ধারা স্থায়ী হবে, নইলে পাকিস্তান হতে বেশি সময় লাগবে না
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশের উন্নয়নের ধারা স্থায়ী হবে, নইলে দেশ পাকিস্তান হতে বেশি সময় লাগবে না এবং আমাদের ভিক্ষা করতে বসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে দুদকের ব্যাখ্যা দাখিলের সময় রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদলতে ভুক্তভোগী জাহালমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
শুনানিতে জাহালমের বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ভুল বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা আবু সালেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করি। এরপর ২০১২ সালের ১০ এপ্রিল আব্দুল্লাহ আল জাহিদ মামলার অনুসন্ধান করেন। এরপর চার্জ সিটে জাহালমের নাম উঠে আসে। টাঙ্গাইলের স্থানীয় চেয়ারম্যানরা জাহালমকে শনাক্ত করেন।
তখন আদালত বলেন, ‘এ মামলায় যাকে আসামি করা উচিত ছিল তাকে আসামি না করে সাক্ষী বানালেন। জজ মিয়া নাটক আরেকটি বানালেন নাকি? দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশের উন্নয়নের ধারা স্থায়ী হবে, নইলে দেশ পাকিস্তান হতে বেশি সময় লাগবে না, আমাদের ভিক্ষা করতে বসতে হবে।’
আদালত আরও বলেন, ‘আমরা দুদকের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করুক এটা আমরাও চাই। আপনাদের (দুদক) আগেও ব্যাংকের দুর্নীতি মামলায় সাবধান করেছি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। অথচ অনেক মামলায় দেখেছি আপনারা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নামার আগেই তাকে একটি নোটিশ দিয়ে দেন। অথচ পরে অনুসন্ধান করে দেখা যায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই নেই। তাহলে কেন নোটিশ দিচ্ছেন? প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় একজন অপরাধী না হওয়া সত্ত্বেও জেল খাটতে হলো কেন? দুদককে স্বচ্ছ হতে হবে।’