শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি জাগিয়ে তুলতে হবে -নোয়াখালীতে রাষ্ট্রপতি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্ব বিকাশের আদর্শ স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি জাগিয়ে তুলতে হবে।
ছাত্র রাজনীতি হবে আদর্শভিত্তিক। দল বা ব্যক্তি নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র ও আদর্শিক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তা হলে দেশে গড়ে ওঠবে ত্যাগী, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। তা ছাড়াও অসামাজিক কর্মকান্ডসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ও জঙ্গি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর গুরুত্ব রাখার আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি রবিবার বিকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) দ্বিতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ডেল্টা প্লান-২১০০ গ্রহণ করেছে। ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা, সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্জিত বিশাল সমুদ্র সীমার বিপুল সম্পদ কাজে লাগাতে হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করারও আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপুমনি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক মো. মমিনুল হক। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ের ৬ জন ও চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও স্নাতকোত্তর ৪ জন রয়েছে। সমাবর্তনে ২২৬৩ জনকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি ও ৪৪৫ জনকে ¯œাতকোওর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।