নড়াইলে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে কুয়েত প্রবাসী খুন আহত ১০, বাড়িঘর ভাংচুর
এস এম আলমগীর কবির নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে একজন প্রবাসী খুন হয়েছে। এ সময় আরও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত সৈয়দ মিজানুর রহমান (৪৮) নোয়াগ্রামের মৃত সৈয়দ সিদ্দিক আলীর ছেলে। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ৬টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। বর্তমান ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রামের ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদ সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের সৈয়দ লেবু মিয়া সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরের পর নিহত মিজানুর রহমানের সাথে একই গ্রামের তিরান কাজীর মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল, সড়কি, লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া দিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এরপর বিকাল ৩টার দিকে সৈয়দ লেবু মিয়া সমর্থিত ৪০/৫০ জনের একদল সন্ত্রসী দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল, সড়কি, লাঠিসোঠা নিয়ে ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদ সমর্থিত লোকজনদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে সৈয়দ মিজানুর রহমান (৪৮) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত সৈয়দ মিজানুর রহমান একমাস পূর্বে কুয়েত থেকে ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তিনি কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। হামলায় সৈয়দ বাকী আলী, সেলিম, আবু রাহেন সাচ্চু, নওশের,শওকত, নিরব আলীসহ ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়।
তাদেরকে লোহাগড়া, নড়াইল, যশোর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত মিজানুর রহমান, সৈয়দ বাকী আলী, কাজী আবুল হোসেন, রুহুল আমিন, বেলায়েত ও আলম কাজীর বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।
বর্তমান ওই গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নোয়াগ্রামের ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, লোহাগড়া থানার এসআই মিল্টন কুমার দেবদাসের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।