শপথ না নেয়ায় ফখরুলের শূন্য আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে অনীহা বিএনপির
শপথ না নেয়ায় বিএনপির মহাসচিবের নির্বাচনী আসনটি শূন্য ঘোষণার পর ওই আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতেও রাজি নয় দলটি। তবে দলীয় ফোরামেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। আসনটি বিএনপির হওয়ায় সেখানে ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরীকরাও অংশ নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তবে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ পর্যায়ে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাতে সংসদে স্পিকার বিএনপি মহাসচিবের নির্বাচনী আসন বগুড়া-৬ কে শূন্য ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে স্পিকারের কাছে সময় চাওয়ার সুযোগ যেমন শেষ হয়েছে তেমনি আসটিতে উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্র তৈরি হলো।
এ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় জানান, যেহেতু মহাসচিব শপথ নেননি সেখানে দলের অন্য কেউ উপনির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, দলের মহাসচিব যদি যোগ না দেয়, সে আসন যদি শূন্য হয় সেখানে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ কতটুকু? দলীয় সিদ্ধান্তে ৫ জন শপথ নিলেন মহাসচিব কেন শপথ নিলেন না, তার তো শপথ নেওয়ার কথা। শপথ কেন নিলেন না তার ব্যাখ্যা তিনি নিশ্চয় দিবেন।
একই বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসনটি বিএনপির হওয়ায় এর উপনির্বাচন নিয়ে তাদের আগ্রহ কম।
তিনি বলেন, যেহেতু এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিল এবং মহাসচিব নিজেই ছিলেন এই আসনে। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন নির্বাচনে যাবে কি যাবে না। মহাসচিব যেখানে নির্বাচিত হয়েও আসন ছেড়ে দিয়েছেন সেখানে মনে হয় না বিএনপি নির্বাচনে যাবে। ঐক্যফ্রন্ট সংগঠনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিনমাস পর বিএনপির চারজন ২৯ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে বিএনপির নির্বাচিত জাহিদ ২৬ এপ্রিল ও ঐক্যফ্রন্টের মোকাব্বির খান ২ এপ্রিল ও সুলতান মুনসুর ৭ মার্চ শপথ নেন।