যানজটে অভ্যস্ত হলেও নানা কারণে বেশ কিছুদিন ধরে এই সমস্যা প্রকট রাজধানীতে।
যানজটে অভ্যস্ত হলেও নানা কারণে বেশ কিছুদিন ধরে এই সমস্যা প্রকট রাজধানীতে। এ পরিস্থিতিতে আসছে রমজানে এই ভোগান্তি কোন পর্যায়ে যাবে তা নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তায় নগরবাসী। যদিও কর্তৃপক্ষ শোনাচ্ছেন আশারবানী। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তন আনতে হবে পরিবহন ব্যবস্থাপনায়।
যানজট এখন জড়িয়ে গেছে রাজধানীবাসীর নিয়তির সঙ্গে। চলমান বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাবও পড়েছে রাজপথে। বিশেষ করে মেট্রো রেলের কাজের কারণে ওইসব এলাকার রাস্তা সরু হয়ে গেছে। ডাইভারসনের ফলে চাপ পড়েছে বিকল্প রাস্তায়। এমন বাস্তবতায় দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান মাস। আর রমজান মানেই রাজপথে বাড়তি চাপ।
বিশেষ করে রোজার প্রথম দিকে অফিস ছুটির পর ছোটাছুটি বাড়ে নগরজুড়ে। এছাড়া ফুটপাতে বসে ইফতার বাজার। ক্রমেই বাড়তে থাকে মার্কেট কেন্দ্রিক চাপ। এবার রমজানে জন-দুর্ভোগ কমাতে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে পুরো মাসের ট্রাফিক প্লান সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, রমজানে আমরা ফুটপাত দখল হতে দিবো না। ইতিমধ্যে ফুটপাত মুক্ত করা হয়েছে। ইফতার সামগ্রী নিয়ে ফুটপাতে বসা যাবে না। সেই সাথে যত্রতত্র পার্কিং করা যাবে না।
ডিএমপির যুগ্ম-মহাসচিব (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে মার্কেট কেন্দ্রিক ও ঈদ সামনে রেখে টার্মিনাল কেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের নানা সীমাবদ্ধ রয়েছে, এরপরও রমজানে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আনার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ও ছোট পরিবহনের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার তাগিদ তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট গাড়ি ব্যবহার ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমানো গেলে যানজট সহনীয় মাত্রায় রাখা যাবে।
এছাড়া রমজানে ঢাকার আশপাশ থেকে পরিবহন যেন রাজধানীতে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টিও নজরে নেয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।