ঘূর্ণিঝড় ফণী'র কারণে দেশের পঁয়ত্রিশ জেলায় মোট ক্ষতি হয়েছে' ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার
ঘূর্ণিঝড় ফণী'র কারণে দেশের পঁয়ত্রিশ জেলায় মোট ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে ৫৫ হাজার ৬'শ হেক্টরই বোরো ধান। মঙ্গলবার (০৭ মে) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের একথা জানান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সার, বীজ ও আর্থিকসহ নানা ধরনের সহায়তা দেয়ার কথা জানান তিনি। এদিকে, এবার দেশে খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে, উদ্বৃত্ত চাল রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আক্রান্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর, পান ৭৩৫ হেক্টর। তবে এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না। একই সঙ্গে বোরো ধান কাটার পর চাল রপ্তানি করা হবে কি হবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে দেশের প্রায় ৩৫টি জেলার ২০৯টি উপজেলায় বেরো ধান, ভুট্টা, পাট, পান ফসলে প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি আংশিক আক্রান্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে বোরো ৫৫৬০৯ হেক্টর ক্ষতির পরিমাণ ১৬২৯.৪২০ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৭৩১২ জন। সবজিতে ৩৬৬০ হেক্টর ক্ষতির পরিমাণ ১৫৫৭.১৮০ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৪৪৩১ জন; ভুট্টায় ৬৭৭ হেক্টর ক্ষতির পরিমাণ ১৩৯.০৫০ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৭২১ জন; পাটে ২৩৮২ হেক্টর জমিতে ক্ষতির পরিমাণ ৯১.৫৭৫ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৭৭৭ জন এবং পানের ৭৩৫ হেক্টর জমিতে ক্ষতি হয়েছে ৪৩৬.৮০০ লাখ টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৩৯০ জন।'
ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা হিসেবে সরকার ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা দেবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। পরে খরিপ ২০১৯-২০ মৌসুমে রোপা আমন ধানের বীজ, চারা উৎপাদন, বিতরণ ও মাসকালাই বীজ বিতরণ, রবি মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এছাড়া শীতকালীন সবজি চাষের জন্য পারিবারিক পুষ্টির অংশ হিসেবে বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজি বীজ বিতরণ করা হবে।'