নড়াইলে জেবিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের জুড়ালিয়া জেবিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া সনদে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে সবুজ বিশ্বাসকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের কোদলা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে। সবুজ খুলনার ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন লাইব্রেরী এন্ড ম্যানেজমেন্ট (ইলাম) নামের প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরী সাইন্সে ভর্তি হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় এলাকাবাসি ভুয়া সনদে এ নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জুড়ালিয়া জেবিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সবুজ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দিয়েছেন। সবুজ বিশ্বাস খুলনার ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন লাইব্রেরী এন্ড ম্যানেজমেন্ট (ইলাম) নামের প্রতিষ্ঠানে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে লাইব্রেরী সাইন্স এ ভর্তি হয়েছে।সে প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র বলে গুঞ্জন উঠেছে। জুড়ালিয়া জেবিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেহ তাকে রয়েল ইউনিভার্সিটির একটি সনদ জোগাড় করে দিয়েছেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিমিয়ে ভুয়া সনদে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে এ নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগে আবেদনকারী নড়াইল পৌরসভার মহিষখোলা এলাকার হাবিবা সুলতানা ও সদরের মালিডাঙ্গা গ্রামের জাহিদ হোসেন জানান, দূর্ণীতিবাজ প্রধান শিক্ষক তাদেরসহ অনেককে ইন্টারভিউ কার্ড দেননি। আবার অনেককে আবেদন করতে নিষেধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।এ নিয়োগে ১৩লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিকাইল হোসেন মোল্যা জানান, ২৫মে সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। নিয়োগ সংক্রান্ত ম্যানেজিং কমিটির সভায় সকল সদস্যকে অবহিত করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক দূর্ণীতি ও অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়ার জন্যই কমিটির সকলকে নিয়োগের বিষয়ে অবগত করেননি। ধূর্ত প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের টাকায় নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে সুকৌশলে সবুজকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম করিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিধি মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। যিনি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তার সনদ ভুয়া কি-না, এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’