‘ঘুষ লেনদেন করে ডিআইজি মিজান আবারো অপরাধে জড়িয়েছে’
ঘুষ নেয়ার অপরাধে নয়, তথ্য পাচার করায় দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
তবে ঘুষ নেননি বলে আবারও দাবি করেছেন এনামুল বাছির। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নিজের দুর্বলতা আছে বলেই ডিআইজি মিজান ঘুষ লেনদেন করেছে। তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নারী কেলেঙ্কারি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ দুর্নীতির নানা অভিযোগে গত বছরের ১৩ মে পুলিশের ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে দুদক। প্রথমে তদন্ত কাজ শুরু করেন উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি। পরে সে দায়িত্ব বর্তায় পরিচালক এনামুল বাছিরের ওপর।
হঠাৎ করেই আবারো আলোচনার জন্ম দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তার দাবি, মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার জন্য চুক্তি করেন দুদক পরিচালক এনামুল বাছির। যার মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদ ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন দুদক পরিচালক। আর বাকি ২৫ লাখের মধ্যে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি দেন ১৫ লাখ। ।
এরই মধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন দুদক পরিচালক। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ এনামুল বাছির। আর কমিশনও জানিয়েছে, ঘুষ লেনদেন নয়, তিনি বরখাস্ত হয়েছেন তথ্য পাচারের অভিযোগে।
দুদক পরিচালক বলেন, আমরা ঘুষের অভিযোগে বরখাস্ত করিনি। আমার অফিসের তথ্য পাচার করলে, সেটা তো আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমরা তাকে বরখাস্ত করছি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে।
এনামুল বাছির বলেন, আমি আবারো বলছি ঘুষ নেইনি। তথ্য পাচারের যে বিষয়টি বলা হয়েছে তা কিন্তু এখনো তদন্তাধীন।
ঘুষ লেনদেন করে আগে থেকেই অভিযুক্ত ডিআইজি মিজান আবারো অপরাধে জড়িয়েছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার ডিপার্টমেন্টাল বিচার চলছে। অন্যগুলো দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এখন সে ঘুষ দিয়েছে কেন? নিশ্চিয়ই তার দুর্বলতা আছে। এবং আরো কিছু রয়েছে। আমরা সেগুলো দেখে ব্যবস্থা নিবো। এখন ঘুষ দেয়া নেয়া দু'টাই অপরাধ। কাজেই সেই অপরাধে তিনি অবশ্যই দণ্ডিত হবে।
এদিকে, ফেনীর নুসরাত হত্যার ঘটনায় আইসিটি আইনে করা মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।