দেশের ইতিহাসে ৪৮তম বাজেট প্রস্তাব ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ।
বরাবরের মতো এবারও বাড়ছে বাজেটের আকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। যা ১৯৭২ সালের প্রথম বাজেটের তুলনায় প্রায় ৬৬৫ গুণ বড়। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই বাজেটেও থাকছে বড় অংকের ঘাটতি। বৈদেশিক ঋণ, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকঋণকে ঘাটতি মেটানো অর্থের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল অনেকটাই বিদেশি অনুদান ও ঋণ নির্ভর। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে বাজেটের আকার ছাড়ায় ১ হাজার কোটি টাকা, যা ১৯৮৮ সালে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়।
২০০৩ সালে ঘোষিত ৩১তম বাজেট প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পেশ করা ওই বাজেটের আকার ছিল ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
৬ বছর পর ২০০৯-১০ অর্থ বছরে যা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রস্তাবিত সে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
২০১১ সালের ৯ জুন পেশ করা বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। মহাজোট সরকারের গত মেয়াদের শেষ বাজেট দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৫ জুন। যার আকার ছিল আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি । দুইবছর পরই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়ায়, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮’র বাজেট ৪ লাখ কোটির মাইলকফলকে পৌঁছায় আর চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।