শুধু সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্যই নয়, দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য জয়ই দরকার ছিল
এমন একটা জয়ই দরকার ছিল। শুধু সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্যই নয়, দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্যও। টাউন্টনে এদিন দাঁতে দাঁত চেপে নেমেছিল টাইগাররা। সমর্থকরাও বসে ছিলেন তীর্থের মতো। হতাশ করেননি সাকিব-লিটনরা। উইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বার্তা দিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়াকে। দুদিন বাদেই নটিংহ্যামে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে অজিদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
টার্গেটা বিশাল ছিল। চলতি বিশ্বকাপে এত রান আগে চেজ করতে পারেনি কেউ। বড় টার্গেটে ঘাবড়ে যাননি তামিম-সৌম্যরা। ভালো শুরুর পর সৌম্য ফিরলেও সাকিব-তামিমের জুটি দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করায়। দুর্ভাগ্যবশত তামিম রানআউট হয়ে গেলেও সাকিব ছিলেন অতিমানবীয়।
আফসোস করতেই পারেন লিটন। বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনালেন। তবে সেঞ্চুরিটা পেলেন না। না, নিজের দোষে নয়। ৬৯ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর তিনি আফসোস করতে পারেন, উইন্ডিজ যদি আরও কিছু রান করতো! তবে লিটনের সেঞ্চুরি না আসলেও ৮.৩ ওভার হাতে রেখে জয় পাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান মজবুত হয়েছে। পাঁচ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টাইগারদের অবস্থান এখন ৫-এ।
টস জিতলে মাশরাফি আগে ফিল্ডিং করবেন সেটা অনেকটা অনুমিতই ছিল। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিনদের দারুণ বোলিংয়ের মধ্যেও শেই হোপ, এভিন লুইস, শিমরন হিটমেয়াররা দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ক্যারিবিয়রা স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহও পেয়ে যায়।