দিনাজপুরের হিলিতে দেশের প্রথম লৌহ খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।
দিনাজপুরের হিলিতে দেশের প্রথম লৌহ খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। খনির আকার, অবস্থান ও গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, পরীক্ষা নিরীক্ষার সব তথ্য ঠিক থাকলে এটি হতে পারে বিশ্বের প্রথম ১০টি লৌহ খনির একটি। এ অবস্থায় খনি কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন এলাকার মানুষ।
উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের সীমান্ত উপজেলা হাকিমপুরের হিলিতে লোহার খনির সন্ধান মিলেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চলতি বছরের এপ্রিলে উপজেলার ইসবপুর এলাকায় খনির সন্ধানে শুরু হয় ড্রিলিং কার্যক্রম। প্রায় ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে কর্মযজ্ঞে অংশ নেন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রায় ১৮০০ ফিট খননের কাজ। এর মধ্যে ১৩০০ ফিট গভীরে পাওয়া গেছে লৌহ ও চুম্বক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, ১৩৩৪ ফুট গভীরতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছি। নতুন অর্থ বছর থেকে আমরা নতুন করে কাজ শুরু করতে পারবো।
এটি হতে পারে বিশ্বের প্রথম ১০টি খনির মধ্যে একটি। এমনটাই দাবি করেছেন বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম। তিনি বলেন, 'মাটির নিচ থেকে আমরা যে নমুনাগুলো পাচ্ছি। এইগুলো আমরা ল্যাব অ্যনালাইসিস করেছি। ফিল্ডেও চম্বুক আকর্ষণের মাধ্যমে ওইটার একটা পার্সেন্টিস বের করার চেষ্টা করেছি।'
এ অবস্থায় কর্মসংস্থানসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন এলাকার মানুষ।এলাকাবাসী জানায়, 'লোহার খনি পাওয়া গেছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। সেই সাথে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।'
২০১৩ সালে হিলি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে মশিদপুর এলাকায় খনির অনুসন্ধানে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় বাংলাদেশ ভূতাত্তিক জরিপ অধিদপ্তর। মশিদপুর থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে ইসবপুর গ্রামে খনির সম্ভাব্য জায়গা শনাক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের ১৯শে এপ্রিল সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজ শুরু করা হয়।