ধর্ষণ মামলার বিচার ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে মনিটরিং সেল গঠনসহ ৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিচারহীনতা দূর করতেই আদেশ বলে জানান হাইকোর্ট।
গত বছর রাজধানীর ডেমরায় চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় ৮ বয়সী এক শিশুকে। ১৬ মাসেও শুরু হয়নি সে মামলার বিচার। বরং জামিন চাইতে আসেন আসামিরা। এমন তিনটি মামলার জামিন শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার বিচার নিয়ে ৭ দফা নির্দেশনা দিলেন দেশের উচ্চ আদালত।
আদালত বলেন, ৬ মাসের মধ্যেই ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা মামলার বিচার শেষ করতে হবে। বিরতিহীন শুনানি করতে হবে। সাক্ষী হাজির এবং তাদের নিরাপত্তায় ব্যর্থতা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর তদারকিতে সব জেলায় গঠন করতে হবে কমিটি।
তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর শিশুরা ধর্ষিত হবে, কিন্তু বিচার পাবেনা - তা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করা হয়।
বিচারহীনতা এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা রুখতেই সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ আদেশ বলেও জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।