ব্লেড দিয়ে নিজের হাতের তালু কেটে ‘গলাকাটা নাটক’ সাজাতে গিয়ে নেত্রকোনায় পুলিশের হাতে ধরা
তানিম নামের এক কিশোর। সে সান্দিকোনা বাজারের সানরাইজ কিন্ডারগার্টেনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার বাড়ি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজিপুর গ্রামে। বাবার নাম গোলাপ মিয়া। সোমবার (২২ জুন) রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেরীর চর গ্রামের এ ঘটনা মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন মোবাইল থেকে ফোন আসে সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেরীর চর গ্রামে একটি ছেলের মুখে অজ্ঞানের স্প্রে দিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির পাশে নির্জন রাস্তায় গলাকাটার উদ্দেশে আঘাত করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা কেন্দুয়া উপজেলা আদমপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যায় পুলিশ।
তিনি আরও জানান, সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে একেক সময় সে একেক তথ্য দিতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানানো হয় নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়াকে। মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেন্দুয়া থানার ওসিকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে যান। হাসপাতালে গিয়ে তানিমের বক্তব্যে সন্দেহ হলে পেরীর চর গ্রামে গিয়েও ঘটনাস্থলের আশেপাশে ও বাড়ির লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশ জানায়, এসময় তানিমের খালার বাড়িতে তার পড়ার টেবিলের ওপর থেকে একটি রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে তানিমকে নিয়ে থানায় আসে। থানায় আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পুলিশকে জানায়- তার খালা এবং খালুর পরামর্শে গলাকাটা গুজব রটাতে সে এরকম ঘটনা সাজায়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিম জানিয়েছে গলাকাটার গুজব ছড়াতেই এরকম একটি ঘটনা সাজানো হয়েছিল। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।