জেনারেল হাসপাতালে নাই ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত ১৪জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ৯ জন নোয়াখালী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে,৪জন প্রাইম হাসপাতালে ও ১জন গুড হিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত বুধবার(২৪ জুলাই) থেকে ৯ জন ডেঙ্গু রোগী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনজন ডেঙ্গু রোগী।
এদিকে নোয়াখালীতে জেনারেল হাসপাতাল সহ কোন সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নাই। নিরুপায় হয়ে ডেঙ্গু রোগীদের ছুটতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে।
আর এই সুযোগে হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে চড়া মূল্য। এমনকি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার নাই বিশেষ ব্যবস্থাপনা। সাধারণ রোগীদের সাথেই চলে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা। এতে অন্য রোগীরা তাদের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় উদ্বিগ্ন থাকেন।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্যে আলাদা কোন ওয়ার্ড বা বিশেষ ব্যবস্থাপনা নাই। নাই মশারি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার কারণে সাধারণ রোগীদের সাথেই অনিরাপদভাবে চলে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা।ডেঙ্গু রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েও বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় ডেঙ্গুর অধিকাংশ ঔষধ।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকগণও ডেঙ্গু রোগীদের বিষয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ১জন, লক্ষীপুর সদরের ১জন, সেনবাগ উপজেলার ২জন, বেগমগঞ্জ উপজেলার ২জন, সোনাইমুড়ী উপজেলার ২জন, সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর গ্রামের ১জন বাসিন্দাসহ মোট ৯জন চিকিৎসাধীন আছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান,গত ৪ দিনে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে ৯ জন রোগী এ হাসপতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাদের সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে জ¦র নিয়ে এ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই ভালো আছেন। হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কর্ণার করা হয় নাই। কিছু দিনের মধ্যে তাদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে ।