বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এখনো বিভেদ থাকলেও আইনে কোনো বৈষম্যের সুযোগ নেই।
ব্রাহ্মণের মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করায় শ্বশুরের করা অপহরণ মামলায় হরিজন স্বামী তুষার দাস জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে তার পক্ষে জামিন আবেদন করলে, শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। সেই সঙ্গে আদালত বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এখনো বিভেদ থাকলেও আইনে কোনো বৈষম্যের সুযোগ নেই।
তুষার দাস হরিজন সম্প্রদায়ের হয়েও ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মেয়ে সুস্মিতা দেবনাথকে। এতে রাজি না থাকায় মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ আর অপহরণের মামলা ঠুকে দেয় মেয়ের পরিবার। এরপর জামিনে বেরিয়ে এসে আদালতকে জানানো হয় স্বেচ্ছায় নিজেদের বিয়ের কথা। আদালত ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও অপহরণের মামলায় দেয়া হয় ১৪ বছরের কারাদণ্ড।
এরপর থেকে ন্যায় বিচারের আশায় শিশুকে কোলে নিয়েই উচ্চ আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন স্ত্রী সুস্মিতা। বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় জামিন শুনানি। পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। বলেন, আইনের চেয়ে জাতপাত কখনো বড় হতে পারে না। সেইসঙ্গে তুষারকে দণ্ড দেয়া বিচারককে ভর্ৎসনা করা হয়।
এদিকে আদালতের এমন আদেশে খুশি সুস্মিতা ও তুষারের পরিবার।
সুস্মিতা বলেন, আমার বাচ্চা তার বাবাকে ফিরে পাবে এটাতে আমি খুবই খুশি। এতে আমার বাচ্চার একটা ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।
মানবিক দিক বিবেচনা নিয়ে উচ্চ আদালতের এমন পদক্ষেপে ভালোবাসার জয় হলো বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।