মুন্সীগঞ্জে মাজারকে ঘিরে মুর্তি ব্যবসা বন্ধ করলেন।
রুবেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জ
শরীর কিংবা হাত-পায়ের যেকোন রোগে মাটির মূর্তি ও দৃশ হাত-পা ফজুশাহ মাজারে মানত করলে ভালো হয়ে যায় রোগ। মাজারে মানতের ফলে মৃত্যু শয্যা থেকেও সম্পূর্ন সুস্থ হয়েছে অনেকে। এমনই কুসংস্কারে গত কয়েক যুগ যুগ ধরেই টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আড়িয়ল ফজুঁশাহ মাজারে মুর্তি মানত ও করে আসছে সরল বিশ্বাসী স্থানীয় মানুষেরা।
আর এ কুসংস্কারকে পুঁজি করে প্রতরণার মূর্তি বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছে মাজারের স্বয়ং খাদেমরা। এদিকে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে মুর্তি ব্যবসা বন্ধ করেছেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাাম্মৎ হাসিনা আক্তার।
এরআগে গতরবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মাজারের সামনেই ১৪টি টং দোকান। দোকান গুলোতে মাটির তৈরি মুর্তি, হাত-পা, চোখ-কান সহ অঙ্গপ্রতঙ্গের বেঁচা-বিক্রি করছে। মাজার প্রাঙ্গনেই সব গুলো দোকান। মাজাঁরের সামনেই দিনের বেলা জ্বলছে মোমবাতি।
কেউ মাজারে মুর্তি প্রদান করছে, আবার কেউ কথিত নিয়ম অনুযায়ী মাজারের চারো দিকে আড়াই বার প্রদক্ষিণ করছে। সিজদাও দিতে দেখা যায় অনেককে। এছাড়াও আছে লাঠিতে তেল ঢেলে সে তেল শরীরের মাখার ব্যবস্থাও রয়েছে ।
রয়েছে গান বাজাঁনার ব্যবস্থাও। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মাজারটিতে যেন ধর্ম অবমাননার মহাউৎসব চলছে।
মাজারের আসা এক ভক্ত আয়শা আক্তার জানান, মায়ের পায়ে সমস্যা ছিলো মানত করেছি ,ভালো হয়েছে । তাই একটি মুর্তি দিয়ে গেলাম। একই কথা জানান আরেক ব্যাক্তি নজরুল ইসলাম।
মাজারের খাদেম ইদ্রিস দেওয়ান জানান, পূর্নাঙ্গ মুর্তি ৩শ থেকে ৫শ টাকা, হাত-৭০ টাকা , পা-১৫০টাকা, চোখ ৩০টাকা, কান ২০টাকা ধরে বিক্রি করে তারা। স্থানীয় কুমারবাড়ি থেকে তৈরি করে এনে ৫থেকে ৫০টাকা লাভে এসব বিক্রয় হয়।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মাজারে আসে। সবার মনোর বাসনাই পূর্ন হয় মাজার মানতে। মাজারের এ রীতি ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে কিনা এব্যপাওে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি তার কাছে।