অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা
অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দুই বছর পূর্বে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু হলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের টেকনাফে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দান করে।
তিনি বলেন, আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ৫০০-১০০০ টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেন নাই।
সংগঠনটির সভাপতি আরো বলেন, গত তিন দিন আগে রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গা হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেন, সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা গত দুই দিন টেলিভিশনের পর্দায় এক রোহিঙ্গা নেতার সাক্ষাতকারে লক্ষ্য করলাম তিনি মুঠোফোনে বিভিন্ন ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের দেখাচ্ছিলেন এবং সেই নেতা অনলাইন টেলিভিশনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবর প্রচারের কথা স্বীকারও করেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গারা কথা বলা ছাড়াও ৩জি-৪জি সেবা গ্রহণ করছে। সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত থাকায় বিষয়টি উদ্বেগজনক। সরকার যদি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের গ্রুপ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে দ্রুতই তারা লাখ লাখ লোক সমবেত হতে পারে।