ছাত্রদলের কাউন্সিলে নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে জরুরি বৈঠকে বসছেন বিএনপি নেতারা
ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল বন্ধে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আচমকা এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় অবাক হয়েছেন কাউন্সিল বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাউন্সিল নিয়ে করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠকে বসছেন দলটির নেতারা।
শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ও ছাত্রদলের কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আমান উল্লাহ আমান নামে ছাত্রদলের সাবেক সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র সহকারী চতুর্থ জজ আদালত কাউন্সিলে স্থগিতাদেশ দেন।
কাউন্সিল অস্থায়ী স্থগিতের পাশাপাশি এ ব্যাপারে বিএনপিকে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। রাতেই আদালতের রায়ের কপি বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ দিকে আবেদনকারী আমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আদালতের এমন নির্দেশ শোনার পর বিএনপিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়। কার ইন্ধনে এ স্থগিতাদেশ চাওয়া হল- সেটাই এখন আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
এদিকে আদালতের স্থগিতাদেশের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসেন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যোগ দেন। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা সময় বৈঠক চলছিল।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও কাউন্সিলের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ছাত্রদল হচ্ছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন। আমার জানা মতে বিএনপি নেতাদের বিবাদী করে আদালত এমন নির্দেশনা দিতে পারেন না।
জানা গেছে, আবেদনকারী আমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা। তিনি বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দশজনকে বিবাদী করেছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশে বলেন, নোটিশপ্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে বিবাদীগণকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত কাউন্সিল স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলার বাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা আমান উল্লাহ আমানের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে কাউন্সিলের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে জোর করে এই মামলা করতে বলা হয়েছে। আমরা তার কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। যেভাবে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়, আমরা মনে করি, আমানকে দিয়ে তা-ই করানো হয়েছে। বিবেকবান সব মানুষই বোঝেন, এর পেছনে সরাসরি সরকারের হাত রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি আইনিভাবে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো।’