হজ-ওমরাসহ সব ধরনের ভিসা ফি নির্ধারণ করেছে সৌদি
সৌদি সরকার হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের ভিসা ফি কমিয়েছে । এর পাশাপাশি দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদেরও এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি হজ এবং ওমরাহ যাত্রীকে গ্রহণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব। এই সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে বলে দেশটির নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা প্রদানের শর্ত শিথিল তথা জরিমানা না নেয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানা গেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই ছিল জিজ্ঞাসা যে, সত্যিই কি সৌদি কর্তৃপক্ষ ওমরাহ পালনকারীদের জরিমানা মওকুফ করবে কি-না। এ সিদ্ধান্তটি এখন অনেকটাই নিশ্চিত, যা কার্যকর করা বাকি রয়েছে। দেশটি সব ধরনের ভিসা ফি কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছ।
সৌদি গেজেটের তথ্য মতে সৌদি আরব দেশটিতে যে কোনো ধরনের ভিসা ফি কমানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভাব্য ভিসা ফির একটি তালিকাও প্রণয়ন করেছে দেশটি। আর তাতেই উঠেছে এসেছে ভিসার ফি, ভিসার মেয়াদ, অবস্থানের মেয়াদসহ বিভিন্ন বিষয়।
অন্য দেশের কোনো নাগরিক একবার ওমরাহ পালন করলে পরবর্তী ৩ বছর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ওমরাহ করা সম্ভব ছিল না। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে ওমরাহ করতেন তাকে ২০০০ সৌদি রিয়াল জরিমানা দেয়া সাপেক্ষে ভিসা নিতে হতো। এ জরিমানা নেয়া থেকে ফিরে এসেছে দেশটি।
ওমরাহ পালন, ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোও ভিজিট ভিসার আওতায় থাকবে। এ ভিসার জন্য ৩০০ রিয়াল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ভিসায় রয়েছে ২ ধরনের সুযোগ। সিঙ্গেল এন্ট্রি, যার মেয়াদ ৩ মাস। এ ভিসায় দর্শনার্থী সৌদিতে ১ মাস অবস্থান করতে পারবে। আর মাল্টিপল এন্ট্রি, যার মেয়াদ ১ বছর। এ ভিসায় সৌদিতে অবস্থান করা যাবে ৩ মাস।
হজ ভিসা
শুধুমাত্র হজ মৌসুমে মুসলমানদের ফরজ বিধান হজ পালনে এ ভিসা দেয়া হবে। এ ভিসার ফিও নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ রিয়াল।
ট্রানজিট ভিসা
ট্রানজিট ভিসা ৩ দিন তথা ৯৬ ঘণ্টা অবস্থান করা যাবে দেশটিতে। এ ভিসায় আকাশপথ, নৌপথ ও স্থল ব্যবহার করতে পারবে ভ্রমণকারীরা।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ কত তারিখ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মাস থেকেই নতুন ভিসা ফি কার্যকর হতে পারে। আর এতে বাংলাদেশিসহ সব দেশের নাগরিকরাই আগের চেয়ে কম খরচে সৌদি ভ্রমণ করতে পারবেন।