‘পদ্মার চরাঞ্চল থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে’
উজানের ঢলে পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় রাজশাহীর পদ্মার চরাঞ্চল থেকে লোকজন সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া ওই পোস্টে প্রতিমন্ত্রী জানান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে (প্রয়োজন হলে) গোদাগাড়ী ও পবাসহ সব চরাঞ্চলের লোকজন সরিয়ে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসার জন্য।
ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহারে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল বর্ষণে প্লাবনের সৃষ্টি হওয়ায় ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত সরকার। যার ফলে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে গঙ্গা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় প্রায় সব নদীতে পানি বাড়ছে। এতে ইংরেজ বাজার শহরের একাধিক এলাকা পানির তলিয়ে গেছে। ইংরেজ বাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিই পানির নিচে। পুরাতন মালদা পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডের ৯টি ডুবে গেছে। জেলায় একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর নদীর পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ঢাকায় কথা বলে প্রথম দফায় কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। একটু আগে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমি রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছি গোদাগাড়ী ও পবাসহ সব চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে (প্রয়োজন হলে) মানুষ সরিয়ে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসার জন্য। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত বাড়তি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজগুলো করবেন।
এদিকে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব চাঁপাইনবাগঞ্জ) সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, এভাবে পানি বাড়লে দুই-তিন দিনের মধ্যে বিপাদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাঁধের কোনো জায়গা সমস্যা হলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।