‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলদাররা রেলের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করেন। এর আগে সকালে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম সরাসরি ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলবে কুড়িগ্রামবাসীর।
ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামায় বিরতি থাকবে।
রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেন জানান, ট্রেনটি প্রতিদিন ঢাকা-কুড়িগ্রামের ২৮৬.৮ মাইল পথ পাড়ি দেবে। কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।
রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) মো. হারুন অর রশীদ জানান, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সার্ভিসের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সদ্য আসা নতুন কোচ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলাচলের পাশাপাশি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বরাদ্দ করা শাটল ট্রেনটিও চলমান থাকায় দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পাবে কুড়িগ্রামবাসী।