বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধেও বাংলাদেশ এগিয়ে: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর সময় পার করছি এখন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বর্তমানে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ্েখেন এগিয়ে চলছি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে আইএমফের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ভুটানের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনি, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিং তিনি এ কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত দুই দশকে বিশ্বে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সারা বিশ্বে যে মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে তৃতীয় চরম অবস্থা বিরাজ করছে। আর সেটি হচ্ছে তথাকথিত বাণিজ্য যুদ্ধ। চলমান এই যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক চার শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অথনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটা কল্প কাহিনীর মত মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। কেননা আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এ মুহূর্তে কোনো ঝুঁকি নেই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থানের প্রসংশা করেছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্ব সেরা। দুটি দ্বীপ রাষ্ট্র ছাড়া বাংলাদেশের সামনে কেউ নেই। দেশের সার্বিক অগ্রগতির রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষ অবদান রাখছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইকনোমিক মিনিস্টার মো. সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী।