ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক রমিজ উদ্দীনের সম্পদ ক্রোক
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক মো. রমিজ উদ্দিন সরকারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের একটি টিম রমিজের সম্পদ ক্রোক করে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে গাজীপুর এবং কুমিল্লাতেও রমিজের সম্পদ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে রমিজের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সম্পদের বিবরণী চেয়ে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়। আর গত ৭ মার্চ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
তবে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, গত ৪ মার্চ ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রমিজকে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে রাজধানীতে পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি, এবং তার জন্মস্থান কুমিল্লায় কয়েক’শ একর জমির সন্ধান পাওয়া যায়। অন্যদিকে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী সালমা পারভীনের নামেও কুমিল্লায় জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় দুদক। এ কারণে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠায় সংস্থাটি।
পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। এ ছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ২০১৮ সালের শেষ দিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক রমিজ উদ্দিন দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে দুদকে যে অভিযোগ পেশ করা হয়েছে তা মিথ্যা। তার নামে যা সম্পদ আছে তার সবই আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা ছিলো। তার নামে কোনো অবৈধ সম্পদ নেই।