বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ মমতার
পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রফতানির এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।’
শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধন করতে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রফতানির প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের কারখানা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার এজন্য জমি বরাদ্দ দেবে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এ বিষয়ে আরও প্রস্তাব উত্থাপন করেন যে, বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা বাইসাইকেল কারখানাগুলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থাপন করতে পারে। তাহলে পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পকারখানার ওপর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতা ব্যানার্জিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি দেশে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখতে কলকাতা সফরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস উপস্থিত ছিলেন।