হর্ন ফ্রি জোন ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও কোনো প্রভাব পড়েনি
মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সকাল থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা থাকলেও লিফলেট বিতরণ ছাড়া দেখা মেলেনি তেমন কোনো তৎপরতাও। তবে পরিবেশ অধিদফতর বলছে, আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার আগে চালকদের সচেতন হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন তারা।মঙ্গলবার ঘটা করে রাজধানীর সচিবালয়ের চারপাশে নীরব এলাকা ঘোষণা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হর্ন বাজালেই হবে জেল জরিমানা। কিন্তু ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে সচিবালয় এলাকায় দেখা যায়নি তার কোনো বাস্তবায়ন।
চালকরা বলছেন, হর্ন নিষিদ্ধ করার আগে চালানো হয়নি তেমন কোনো প্রচারণা। তারা বলেন, পথচারী আর রিকশাকে কন্ট্রোল করতে হবে আগে।
আর সড়কে চলাচলকারীদের অভিযোগ, আইন প্রয়োগে তৎপরতা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার।
এদিকে ঘোষিত নীরব এলাকার শব্দমান যাচাইয়ে সপ্তাহজুড়ে জরিপ চালাচ্ছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ। তাদের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে বুধবারই সর্বোচ্চ শব্দমান পাওয়া গেছে সচিবালয় এলাকায়।
তারা বরেণ, আগে যেখানে শব্দমান ৫৪ ডেসিবেল ছিল, সেখানে আজকে আমরা ৬৫ ডেসিবেলের নিচে ১২ টা লোকেশনের কোথাও শব্দের মান পাইনি। শব্দের মান নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়নি।
তবে পরিবেশ অধিদফতর বলছে, আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার আগে জনগণকে সচেতন হতে সুযোগ দিচ্ছেন তারা। আগামী রোববার থেকে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।