নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ
হাজার চেষ্টা করেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির মুখ খোলাতে পারেননি কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ে সানা গাঙ্গুলির একটি পোস্ট প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিল তাকে। কারণ, ওই পোস্টে সাহিত্যিকের উদ্ধৃতি থাকলেও তা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিপন্থী।
যদিও চটজলদি মেয়েকে নিরাপদ বেঞ্চে রেখে সৌরভ অনুরোধ জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে সানাকে না জড়ানোই ভালো। কারণ, মেয়ে মাত্র ১৮ বছরের। এখনো রাজনীতি বোঝার বয়সে এসে পৌঁছায়নি সে।
এর ২ দিন পর নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মুখ খুললেন প্রিন্স অব ক্যালকাটা সৌরভ। যদিও অতি সাবধানী ‘দাদা’ বিবৃতিতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বরং দেশবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার মতে,শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ দেখানোই বাঞ্ছনীয়। এতেই দেশের মঙ্গল।
মেয়ের বিতর্কিত পোস্টের আঁচ যাতে সানা বা অন্য কারো গায়ে না লাগে সেজন্যই সম্ভবত মুখ খুলতে বাধ্য হলেন সৌরভ। তার মুখ খোলাকে তাই সেই আলোচনার ওপর নতুন ঢাকনা বলে মনে করছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের একাংশেরও মত তাই।
নিজের মতপ্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্বন্ধে গভীরভাবে কিছুই জানি না। তাই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার সাহস দেখাব না। তবে আমার মতে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সম্ভব। এ মুহূর্তে দেশে শান্তি-সম্প্রীতির অতি প্রয়োজন। ফলে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে আমার অনুরোধ, যা-ই করুন শান্তি বজায় রেখে করুন।
চলতি সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় বিখ্যাত রম্যলেখক খুশবন্ত সিং-এর ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’র একটি অংশ পোস্ট করেন সানা। যা উত্তপ্ত পরিস্থিতির সঙ্গে জুতসই। সেই পোস্ট খবরের শীর্ষে উঠে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে হাল ধরেন সৌরভ।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এর পরই ইরফান পাঠানকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সৌরভকে। জবাবে তিনি বলেন, এমন কিছু বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন না করাই ভালো। এর জবাব দিতে পারবেন না তিনি।