স্যার আবেদের বিদায়ে বিরাট শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছেন: ড. ইউনূস
আমরা যে বাংলাদেশ দেখছি তিনি তার রূপকার। তার বিদায়ে বিরাট শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছেন।- স্যার ফজলে হাসান আবাদকে নিয়ে কথাগুলো বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তিনি প্রতিটি বিষয়ের গভীরে গেছেন এবং ব্যাপ্তি সৃষ্টি করেছেন। এটা করতে গিয়ে তাঁকে বহু প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করতে হয়েছে। তাঁর অবদান হলো—তিনি এসব প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন, এর সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার সিস্টেমটাও সৃষ্টি করেছেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। তার আগেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর জানাজা শেষে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে বনানী কবরস্থানে তাঁর প্রথম স্ত্রী আয়েশা আবেদের পাশে সমাহিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব কর্নেল সাইফুল্লাহ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ, তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিছুক্ষণ পর এখানেই তারা নামাজে জানাজা শেষে দুপুরে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ। শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হলো তা কোনভাবেই পূরণ হবার নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নীরবে নিঃশব্দে তিনি সেবামূলক কর্মকাণ্ড ছড়িয়েছেন। দেশের প্রত্যেকটি জনপদে ফজলে হাসান আবেদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বললেন, তিনি (স্যার আবেদ) হঠাৎ হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠান করে গেছেন, একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িত না-এমন না। এটাও তাঁর একটা বড় অবদান। হেন বিষয় নেই, তিনি সেটাতে মনোযোগ দেননি। মনোযোগ দিয়েছেন এবং সেটাকে নমুনা হিসেবে ছেড়ে দিয়ে আসেননি। সেটাকে সর্বব্যাপী করেছেন।
স্যার আবেদকে তিনি আরো বলেন, মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে যে একটা বার্তা দেওয়া যায় এবং পরিবর্তন আনা যায় সেটাও তিনি প্রমাণ করেছেন। ওরাল স্যালাইন এর বড় প্রমাণ। বাংলাদেশে এখন আমরা এর উপকার দেখছি।