মনোনয়নপত্র কিনেছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস। এছাড়া আরেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমও মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এছাড়া নাজমুল হক ও এম এ রশীদ দক্ষিণ সিটির হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আর ঢাকা উত্তর সিটিতে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়া ইয়াজ আল ফকির, নাজমুল হক, শহীদুল্লাহ ওসমানীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন নেতাকর্মীরা।
বেলা তিনটার দিকে মেয়র আতিকুলের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুদ্দিন ইমন এবং ছোট ভাই আবু মাহমুদ খান মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করেন। আর বেলা সোয়া তিনটার দিকে শেখ ফজলে নূর তাপসের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ কামাল।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ জানুয়ারি দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
সিইসি কেএম নূরুল হুদা জানান, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোননে চমক থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, যারা আছেন, তাদেরকেই রাখা হবে; প্রার্থী বাছাইয়ে সেটাকে মাথায় রাখা হয় না। বরং তারা দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের কতটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন, সেটাই বিবেচনায় রাখা হবে।
এদিকে নানক বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। গ্রহণযোগ্য কাউকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সব স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করলেও আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এদিকে নির্বাচনের আমেজ শুরু না হলেও তফসিল পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের মাঠ প্রভাবমুক্ত রাখতে আর নির্বাচনী আচরণ বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে দুই একদিনের মধ্যেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুই সিটির রিটার্নিং অফিসাররা।প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিসুল হক আর দক্ষিণে সাঈদ খোকন নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ায় মেয়র পদটি শূন্য হয়। এরপর চলতি ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর সিটির উপ-নির্বাচনে মেয়র হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪টি সাধারণ এবং ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬১১ জন। আর ৭৫টি সাধারণ এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটিতে ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।