ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবার চিঠি ঢামেক পরিচালকের কাছে
ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজও সোচ্চার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ক’দিনের মতো আজও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন শিক্ষকরাও। এদিকে ৪ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী।
একের পর এক ধর্ষণ আর বিচারের দাবি-এমন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়মিত হয়ে গেছে গোটা দেশে। বিদ্যমান আইনে যে শাস্তি; তাও অপ্রতুল। তাই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিক্ষুব্ধ ক্যাম্পাস।
অন্যদিকে আছে বিচারহীনতার হাজার হাজার নজির। আন্দোনকারীরা বলছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদাহরণের অভাবেই ঘটছে এমনটা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষণের সংখ্যা এখন অনেক বেড়ে গেছে। কয়টা অপরাধের বিচার হয়।
এদিকে বর্বর এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, মানসিক ও শারীরিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে ওই ঢাবি শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীটির বাবার একটি লিখিত চিরকুট পড়ে শোনান পরিচালক।
শিক্ষার্থীটির বাবা চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমাদের এ বিপদের মুহূর্তে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থীরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ঢামেক কর্তৃপক্ষ, মিডিয়াকর্মীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বলেন, সামনে যেহেতু তার পরীক্ষা আছে তাই সে যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে জন্য যা যা করার তাই করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরও বলেন, দোষী ব্যক্তির এমন শাস্তি হোক আর যাতে কেউ এমন বর্বরতার সাহস না পায়।