ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’: ট্রুডো
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, বিভিন্ন প্রমাণ ইঙ্গিত করে যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এই হামলা ‘অনিচ্ছাকৃত’ হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি নিহত হবার মাত্র চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের রাজধানী তেহরানে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, আমাদের মিত্র, নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া প্রমাণগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইরানের একটি সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা উৎসের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
তবে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার বিষয়টি ‘অনিচ্ছাকৃত’ হয়ে থাকতে পারেও বলে মনে করছেন ট্রুডো।
ইরানের অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও।
এর আগে ইরানের রাজধানী থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন বলে জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ইরানের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, তেহরানের কাছে ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা সব আরোহী নিহত হয়েছেন এবং এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ইরান নেতৃত্বাধীন তদন্তকাজে অংশ নেয়ার জন্য কানাডা সরকার তেহরানকে চাপ দিচ্ছে।
তবে ২০১২ সালে ইরানে অবস্থিত কানাডা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া এবং তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার ফলে তাদের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া কঠিন হবে বলেও জানান ট্রুডো।