জীবন দেব, তবুও ভারতের অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলব: ভিপি নুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিডি নুরুল হক নুর বলেছেন, জীবন দিতে হয় দেব, তবুও ভারতের অন্যায়, শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ভিপি বলেন, ভারতের অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, ভারতের শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও বলে যাব। সেক্ষেত্রে যদি জীবন দিতে হয় দেব। কিন্তু কোনো কমপ্রোমাইজ নাই দেশের শত্রুদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে পরামর্শ দেন যেন সব বিষয়ে কথা না বলে স্পেসেফিক বিষয়ে কথা বলি। তাদের পরামর্শকে আমি স্বাগত জানাই।
তবে তাদের প্রতি এ আহ্বানটাও জানাই যে, নির্যাতন নিপীড়ন হবে। সরকার হামলা মামলা করবে। সেই ভয়ে কি আমরা কথা বলব না? এতটা কাপুরুষ আমরা নই।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল যেখানে ভারতের প্রশ্নে একটা সুবিধাজনক অবস্থান নেয়, স্ট্যানবাজি করে। সেখানে ডাকসুর সামান্য ভিপি হয়ে কিংবা ছাত্র অধিকার পরিষদের সামান্য নেতা হয়ে নুরুল হক নুর বারবার সোচ্চার থেকেছে।
নুর বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ ভারতীয়রা প্রতিবছর প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়।
‘অথচ অসংখ্য ভারতীয় বাংলাদেশে অবৈধভাবে কর্মরত আছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সেটা নিয়ে আমরা সমালোচনা করব না?’
নুর বলেন, আপনারা রাজনৈতিক লোভের কারণে চুপ থাকতে পারেন, কমপ্রোমাইজ নীতি অনুসরণ করতে পারেন। কিন্তু ছাত্রসমাজ চুপ থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশে যখনই কোনো বিষয়ে আন্দোলন হয়, সেটা ছাত্রদের অথবা মানুষের। যে কোনো আন্দোলনেই সরকার একটা কমন ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করে। বলা হয় এটা জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন, বিএনপির আন্দোলন, বিরোধী দলের আন্দোলন, সরকার পতনের আন্দোলন।
নুর আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরের নাম দিয়ে কোনো মানুষকে পেটানো, মেরে ফেলাও অনেকাংশে জায়েজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমাজে ইমপ্লিমেন্ট শুরু করেছে। আর সেটা নিয়ে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কথা বলেন না।
‘বুয়েটের আবরারকে শিবির বলে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে চারজন শিক্ষার্থীকে শিবির সন্দেহে মেরে হল থেকে বের করে দিয়েছে।
আর সারাদেশে তো এরকম অনেক ঘটনাই ঘটছে বলে জানান ডাকসু ভিপি।