উত্তর সিটির ২ সপ্তাহের মশা নিধন কর্মসূচি
শীত কমতে না কমতেই শুরু হয়েছে মশার উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ নগরবাসীর প্রশ্ন, গত বছরের মতো এ বছরও কি ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগবেন তারা? এমন শঙ্কার মাঝেই আজ থেকে উত্তর সিটি করপোরেশনে শুরু হয়েছে মশা নিধনে দুই সপ্তাহের বিশেষ কর্মসূচি। তবে সেই কর্মসূচির শুরুর দিনেই তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
মশা নিধনের নতুন এই যন্ত্রের নাম ভেইকেল মাউন্টেন। উত্তর সিটির মশক নির্মূলে বিশেষ অভিযানের শুরুর দিনই বিকল এটি। ফগার মেশিন ছাড়াও ভর দুপুরে মশা মারতে নতুন এই যন্ত্রটি নিয়ে আসা হয়েছে, কিন্তু একটি বারের জন্যও কাজ করেনি তা। ক্যামেরার বাইরে অনেক কর্মীর অভিযোগ অনেকেই এটি চালাতে পারেন না। তবে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, যাদের থেকে মেশিন কেনা হয়েছে তার প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছে। এছাড়া আমাদের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড থাকায় তারাই সমস্যা ঠিক করে দিবে।
শীত কমতে না কমতেই নগরিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। তাই এবার আগেভাগেই এডিসসহ সব ধরণের মশার আধিক্য ঠেকাতে উত্তর সিটির এই বিশেষ মশা নিধন কার্যক্রম। তবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে মূল সড়কে। মিরপুর ১৩ নম্বরে যে স্থানে এই নিধন কার্যক্রম তার ৪০ কদম দূরেই মিরপুর বাগানাবাড়ি খাল। এলাকাবাসী বলছেন মশা মারা হয় শুধুই ভদ্র পল্লিতে। গত বছরের মতো এবারও যাতে এডিস মশার কামড়ে মরতে না হয় সেই দাবি নগরবাসীর।
ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন বলেন, এবারও আমাদের ডেঙ্গুর শঙ্কা রয়েছে। তাই এটাকে বিবেচনায় রেখেই আমরা বছরের শুরু থেকে কার্যক্রম শুরু করেছি। আতঙ্ক নয়, সচেতনতাই আমাদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে পারে।
সরকারি হিসেবেই গত বছরই দেশে ডেঙ্গুতে মারা যান দেড়শরও বেশি মানুষ।