জিম্বাবুয়েকে ১০৬ রানের ব্যবধানে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
টেস্টে জয়ে খরা কাটালো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। স্পিনার নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের ঘুর্ণিতে জিম্বাবুয়েকে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান সিরিজ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের লাহোর টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষেও ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে মুমিমুল বাহিনীদের। এমন দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজন ছিলো একটি জয়। অবশেষে সেই জয়ের দেখা মিলল।
এর আগে, বাংলাদেশের দেয়া ২৯৫ রানের লিডে খেলতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় এরভাইন বাহিনী। ইনিংসের প্রথম ওভারে নাঈম ইসলামের বলে ২ উইকেট হারায় দলটি। এরপর অবশ্যই টেইলর ও কাসুজার ব্যাটিং দৃঢ়তায় তৃতীয় দিনের শেষ সেশন পার করে জিম্বাবুয়ে। যদিও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ফিরে যান টেইলর ও কাসুজা এবং অধিনায়ক ক্রিইগ এরভিন। এরমধ্যে সফরকারীদের অধিনায়ক এরভাইন ৪৩ রানের একটি মূল্যবান ইনিংস খেলেন। তাকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশের দলপতি মুমিনুল হক।
এরপর সিকান্দা রাজা দলের হয়ে লড়াইয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান। যদিও সেখানে বাঁদ সাজেন বা-হাঁতি স্পিনার তাইজুল। এ ম্যাচে দ্বি-শতক করা মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ক্যাচে মাঠে ছাড়েন তিনি। ৭১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন টিমিচিন মারুমা। তাকে ফিরিয়ে দেন নাঈম ইসলাম। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেলেন এরভিন বাহিনী। আর চা-বিরতির আগে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা অলআউট হয়ে যায়। এতে একমাত্র টেস্টে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
স্কোর:
প্রথম ইনিংস: ২৬৫/১০
মাসভুরে ৬৪, ক্রেইগ এরভিন ১০৭, চাকাবা ৩০; আবু জায়েদ রাহি ৭৪/৪, নাঈম ইসলাম ৭০/৪, তাইজুল ইসলাম ৯০/২।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৬০/৬
তামিম ইকবাল ৪১, নাজমুল হাসান শান্ত ৭১, মুমিনুল হক ১৩২, মুশফিকুর রহিম ২০৩* লিটন দাস ৫৩; এনডিলোভু ১৭০/২ টিশুমা ৮৫/১, রাজা ১১১/১ নিয়াউচি ৮৭/১ থ্রিপানো ৩০/১।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮৯/১০
ক্রেইগ এরভিন ৪৩, সিকান্দা রাজা ৪১, মারুমা ৪১, চাকাবা ১৮; নাঈম ইসলাম ৮২/৫ তাইজুল ৭৮/৪।
ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।