LatestsNews
# টঙ্গীতে বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত।# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান -- ওয়ার্কাস পার্টি# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান-- ওয়ার্কার্স পার্টি# পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সাথে নবনিযুক্ত ওসি'র শুভেচ্ছা বিনিময় # টঙ্গীতে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। # টঙ্গীতে হেরোইনসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম # গাজীপুরে ফেনসিডিল ও ইনজেকশনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার# গাজীপুরে ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার।# গাজীপুরে সাংবাদিককে হত্যার ষড়যন্ত্র; ছাত্রদল নেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল। # টঙ্গীতে আই এম সি এইচ ডায়াগনোস্টিকস্ এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন। # টঙ্গীতে বিদেশি মদসহ ৭ জন গ্রেপ্তার # টঙ্গীতে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল# টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু# বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন ভোলা জেলা শাখার নব নির্বাচিত সভাপতি নাহিদা পারভীন# টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত# গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন # পূবাইলে সাংবাদিক ক্লাবের উদ্দ্যোগে নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন# টঙ্গীতে ১১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ২
আজ বৃহস্পতিবার| ২৮ মার্চ ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
# মানুষের কথা মানুষের জন্য-এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই (তথ্য,প্রযুক্তি ও বিনোদন ভিওিক ) পূর্ণাঙ্গ IP TV ( CHANNEL 4) - google play store হতে Apps ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।# আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যে কোন সংবাদ নিয়ম কিংবা অনিয়মের তথ্য জানিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন । আমারা আমাদের প্রচার যোগ্য মাধ্যমে আপনার পাঠানো সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ নিয়মে সংবাদ প্রচার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি আমাদের প্রচারিত সংবাদ দেখতে লগইন করতে পারেন www.channel4bd.com এ (4 Media Limited, অফিস : হিরন টাওয়ার,২০/১-বি, সাতাইশ,শরিফ মার্কেট, টঙ্গী,গাজীপুর ১৭১২। রিপোর্টিং : 01911073607, বিজ্ঞাপন :01715467283। ই-মেইল 4tv.4news@gmail.com)# মানুষের কথা মানুষের-জন্য এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরাই প্রতিষ্ঠা করতে চাই সংবাদ ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ IP TV CHANNEL 4 - google play store App ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।

ছিনতাইকারীদের গুলিতে সাগিরা হত্যা মামলা : সাজানো চার্জশিটের পুনরায় তদন্তের দাবি



নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রায় ৩০ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে চাঞ্চল্যকর সাগিরা মোর্শেদ হত্যায় তার ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যে চার্জশিট দাখিল করেছে, তাতে তুলে ধরা অভিযোগকে মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে বিবাদীর পরিবার। এমনকি পিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লিখিত কিছু বক্তব্য খুনও করেছে তারা।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম ও চার্জশিটের ‘নানা অসঙ্গতি’ তুলে ধরেন আসমী পক্ষের দুই ছেলে চৌধুরী দিরাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহির।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুর ডা. হাসান ও তার স্ত্রী শাহিনসহ চারজনকে আসামি করে ১ হাজার ৩০৯ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। অন্য আসামিরা হলেন-হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।

৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।

চার্জশিটে পিবিআইয়ের উল্লেখ করা অভিযোগের জবাব দিয়ে চৌধুরী দিরাবিজ মাহমুদ ও চৌধুরী মাহির সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই আমার ছোট চাচি সগিরা মোর্শেদ আমাদের চাচাতো বোন সারাহাত সালমা চৌধুরীকে স্কুল থেকে আনার পথে ছিনতাইকারীদের গুলিতে মারা যান।

ওই ঘটনা অনেক নাড়া দিয়েছিল সবাইকে। কিন্তু সে ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১৯৯১ সালে হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে যায়, যা গত বছরের জুনে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর বাবা-মা এবং বড় মামা মারুফ রেজাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় এবং গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই।

চার্জশিটে লেখা, ঘটনার দিন দুপুর ২টায় আব্বা ফোন দিয়ে মামা আনাসকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মৌচাকে থাকতে বলেন। আর বাদী আনুমানিক বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছোট চাচিকে বলেন যে, ‘আমি যাবো না, তুমি যাও’ এবং রিকশাতে ওঠার কিছুক্ষণ পরে ছোট চাচি বলেন, মৌচাক দিয়ে স্কুলে যেতে। তাহলে আব্বা দুপুর ২টার সময় কীভাবে জানলেন যে ছোট চাচি না চাচা স্কুলে যাচ্ছেন? আর মামা ওই বছরের শুরু থেকে এইচসিএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন এবং জুন-জুলাই মাসে প্রজেক্টের কাজে রংপুরে পোস্টিং ছিল তার।

দিরাবিজ মাহমুদ ও মাহির আরও বলেন, একটি চিরকুটের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু সেটি কোথায়? ৩০ বছর আগে আদালতের জবানবন্দিতে ছোট চাচা বলতে পারেননি, কোন জিডিও করেননি। আম্মার ৪০ বছর আগের চিঠি সযতেœ রাখতে পারলে চিরকুট কেন পারেননি? বাদী যদি পরিবারের কথা শুনে তখন কেস নিয়ে না এগিয়ে থাকেন এবং ৩০ বছর যাবত সত্য গোপন রাখেন, তাহলে আসল খুনি কে?

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পিবিআই মামলার দায়িত্ব নিয়েছে গত বছরের ১৭ জুলাই এবং বাদী মাত্র ৮ দিনে ২৫ জুলাই ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাদী মিথ্যা ও বানায়াট ঘটনার তথ্য ৮ দিনের মধ্যে পিবিআইতে দাখিল করেন, যার মাধ্যমে পিবিআই’র সম্মানকে ও ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন।

দিরাবিজ মাহমুদ ও মাহির বলেন, এসব কারণে আমাদের ও আত্মীয়দের মনে সন্দেহের উদ্রেক তৈরি হওয়ায় আমাদের মনে হচ্ছে যে, আসল খুনি অন্য কেউ। সেটা বাদী, নাকি তার শ্বশুর বাড়ির কেউ, নাকি অন্য কেউ সেটা বের করার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, ঘটনাটি পুনরায় সুষ্ঠভাবে তদন্ত করে আসল খুনি বের করা হোক।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ওই হত্যাকান্ডে রমনা থানায় মামলা করেন সগিরার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজনের। সাক্ষীতে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (১০৪২/১৯৯১) করেন মারুফ রেজা, যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়।
১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর ২৮ বছর ধরে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। পরে তাদের আরও ৬০ দিনের সময় দেন আদালত। এরপর পিবিআই অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে।


1