সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় মাঝনদীতে কোয়ারেন্টাইনে সুন্দরবন-১৪
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস ও রেলসহ সকল গণপরিবহন। এমতাবস্থায় বিনা অনুমতিতে এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসায় সুন্দরবন-১৪ নামের একটি লঞ্চকে মাঝ নদীতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। পাশাপাশি লঞ্চটির মাস্টার, সুকানি ও সুপারভাইজারসহ ৩৬ জন স্টাফকে ১৪ দিন লঞ্চেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখা লঞ্চটির স্টাফদের এ নির্দেশ দেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় গোলাম সরওয়ার।
এ বিষয়ে অমিত রায় জানান, রাতে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে ওই লঞ্চঘাটে অভিযান চালান তারা। এ সময় ঘাটসংলগ্ন মাঝ নদীতে সুন্দরবন-১৪ লঞ্চটিকে আলো-বাতি নেভানো অবস্থায় নোঙর করা দেখেন তারা। পরে ট্রলারযোগে সেখানে গেলে স্টাফদের মাধ্যমে জানতে পারেন, লঞ্চটি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী এসেছে। তাই মাঝনদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশ মোতাবেক সম্প্রতি যারা ঢাকা থেকে ফিরেছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই ওই লঞ্চের স্টাফদের লঞ্চেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।