দেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন: আইইডিসিআর
শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালের ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে ৪ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। যার দুজন চিকিৎসক। অন্য দুজনের পেশাগত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি ব্রিফিংয়ে। তবে জানানো হয়, ৪ জনের মধ্যে দুজন ঢাকার এবং বাকি দুজন ঢাকার বাইরে। যার ৩ জন নারী ও একজন পুরুষ।
বর্তমান পরিস্থিতিকে আবারো সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হিসেবে বর্ণনা করেন আইইডিসিআর পরিচালক।
দেশে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। আর, আক্রান্ত ৪৮ জনের অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে আইইউিসিআর।
এদিকে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি।
শুক্রবার পাওয়া তথ্যমতে, সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৫০ জনে। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৮৩ জনের। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৬ জন।
এ মুহূর্তে সারাবিশ্বে আক্রান্ত অবস্থায় আছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪১ জন, যাদের মধ্যে ১৯ হাজার ৩৫৭ জনের অবস্থা গুরুতর। বাকি ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় ১৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, সুস্থ হয়েছেন ৮৪ শতাংশ মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে চীন-ইতালিকে ছাড়িয়ে এক নম্বরে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫২০ জন, যা গোটা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ। সেখানে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৭ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৮২ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে অন্তত ২ হাজার ১১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে চীন। করোনার উৎস দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ জন। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯২ জন।
করোনা মহামারিতে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২১৫ জনে। একদিনে নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ১৫৩ জন, মোট ভুক্তভোগী ৮০ হাজার ৫৮৯ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯৬ জন। মারা গেছেন ১৩ জন। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১০৬ জন, প্রাণহানি ঘটেছে ৮ জনের। নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।