সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গেছেন প্রায় ১ কোটি মোবাইল
এনটিএমসির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানায়, ১ কোটি ফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাদের শিশুসন্তান বা যাদের ফোন নেই এমন মানুষদের সংখ্যা যুক্ত করলে এ সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে। এত বিপলসংখ্যক মানুষের মধ্যে কারও যদি করোনাভাইরাস থেকে থাকে, তাহলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
২৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সংবাদ সম্মেলন করে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ও ২৭ ও ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি এ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। তারপর থেকেই গ্রামে ছুটছে মানুষ।
যদিও জাতিসংঘের এক নথিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের কারণে ‘খুব সম্ভবত ঝুঁকিপূর্ণ ও সংক্রমণশীল লোকজন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে রোগের বিস্তার আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।’ তবে নথিতে এও বলা হয়, ঢাকা থেকে লোকজন বের হয়ে যাওয়ায় রাজধানী শহরের ওপর কোভিড-১৯ রোগীদের বোঝা হয়তো কমেছে এবং তা দেশজুড়ে বিন্যস্ত হয়েছে।
এনটিএমসি'র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান জানান, এক কোটি গ্রাহকের মধ্যে বাংলালিংকের ১৬ লাখ, গ্রামীণফোনের ৪৬ লাখ, রবি’র ৩৫ লাখ এবং টেলিটকের ২ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
তিনি বলেন, এত বিপুলসংখ্যক মানুষের মাঝে যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকে ভয়াবহ আকাড় ধারণ করতে পারে।