সাতক্ষীরার শ্যামনগর মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার বিধবা
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তি ওই বিধবা নারীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠে।
শ্যামনগরের শ্রীফলকাঠি গ্রামে বসবাসরত ওই নারী নিজের মেয়ের জন্য ছেলে দেখতে কদমতলা এলাকায় যাওয়ার পর ঘটক ও তার চার সহযোগী কৌশলে তাকে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। শ্যামনগর থানা পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার তথ্য নিশ্চিত করে দ্রুত ধর্ষকদেরকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর দায়েরকৃত অভিযোগে জানায়, তার মেয়ের বিয়ের জন্য ছেলে দেখানোর কথা বলে ঘটক কুলতলী গ্রামের অফেজউদ্দীন গাজীর ছেলে মহসীন হোসেন তাকে কদমতলায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আরও একজন ভাল ছেলের অভিভাবকের সাথে কথা বলার অজুহাতে বুধবার বিকেলের দিকে তাকে ভাড়াটিয়া মটরসাইকেল চালক (বাবু) এর সহায়তায় কুলতলি গ্রামে নিয়ে যায় মহসীন। পথিমধ্যে সন্ধ্যা হওয়ার সুযোগে একই এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরের বাসায় আটকে রেখে চার সহযোগীসহ মহসীন তাকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধারকারী ঘের কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও শুধাংসু মণ্ডল জানায়, রাতে তারা পাহারার সময়ে কাছে একটি চিংড়ি ঘেরের বাসা থেকে কোন নারীর চিৎকার শুনতে পায়। দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই সফিকুল, মহসীন, বাবু, গোলাম রব্বানী ও হান্নানসহ আরও দুইজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে রাতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়।
গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম জানায়, রাতে স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার ঐ নারীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে রাত গভীর হওয়াতে নিজের বাড়িতে রাখার পর দুপুরের দিকে শ্যামনগর থানায় পৌঁছে দেয়া হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করার পর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।