পটুয়াখালী শহরে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে ফকির সেজে স্কুলছাত্রী অপহরণ
পটুয়াখালী শহরের হেতালিয়া বাধ ঘাট থেকে অপহৃত নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুপধন কাটাখালী গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
এ সময় মোহাম্মদ মনির মীর (২৭) নামে এক ‘ভণ্ড ফকির’কে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তি রুপধন কাটাখালী গ্রামের আব্দুল খালেক মীরের পুত্র।
র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, আসামি মোহাম্মদ মনির মীর নিজেকে পটুয়াখালী শহরের হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় একটি খানকাহ শরীফের ফকির পরিচয় দিয়ে আনুমানিক ৩/৪ মাস আগে আস্তানা গড়ে তুলে। এ সময় খানকাহ শরীফের পাশেই ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। এ ছাড়া খানকাহ শরীফের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে গুপ্তধন উদ্ধার করেত সক্ষম বলে গুজব ছড়ায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগীর পরিবারকেও গুপ্তধন উদ্ধারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণ করে ৯ মে মোহাম্মদ মনির মীর পালিয়ে বরগুনার পাথরঘাটার রুপধন কাটাখালী নিজ গ্রামে যায়। এদিকে অপহৃত ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোথাও না পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মা গতকাল পটুয়াখালী থানায় একটি সাধরাণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ছাড়া অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে র্যাবের সহাযোগিতা কামনা করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী মোহাম্মদ মনির মীর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।