সারা দেশের পাসের গড় হার ৮২.৮৭ শতাংশ। এবছর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। সারা দেশের পাসের গড় হার ৮২.৮৭ শতাংশ। এবছর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন।
রোববার (৩১ মে) সকাল ১১টায় গণবভনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল শেখ হাসিনার হাতে অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর তিনি ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল দেয়ার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন থেকে ফেইসবুক লাইভে মাধ্যমিকের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গতবছর ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। এবার ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পাস করেছে।
নয়টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডের ৭১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এবারও পাসের হারে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের মধ্যে ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ পাস করেছে।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১০ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯২ জন। আর ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ জন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে বলে ফল প্রকাশের দিন কোনো অবস্থাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমায়েত না হতে শিক্ষার্থীদের আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফল পাঠানো হবে না। তাই ফল প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসও বন্ধ রাখতে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডেরে পাসের গড় হার ৮২.৩৪।
যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৯.১০। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩।
কুমিল্লায় পাসের হার ৮৫.২২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮০.৩১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন। বরিশাল বোর্ড পাসের হার ৭৯.৭০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৭৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮২.৭৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৪.৭৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮ জন।
মোবাইলে ফল পেতে:
SSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আর এতে খরচ হবে ২ টাকা ৫৫ পয়সা।