ইসরায়েলের মাধ্যমে সাহায্য পাঠিয়ে ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্বকে অপমান করেছে।
ফিলিস্তিনিরা প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও সাহায্য সামগী নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানসেবা ইতিহাদ এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় একটি ফ্লাইট ইসরায়েল যাচ্ছে। এতে থাকবে মেডিকেল সামগ্রী, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য পাঠানো হবে। সম্প্রতি আরো একটি ফ্লাইটে একই সরঞ্জামাদি পাঠানো হলে তা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনিরা।
মিডল ইস্ট মনিটরের বরাতে জানা যায়, মেডিকেল সরঞ্জাম নিয়ে ইতিহাদের প্রথম ফ্লাইটটি গত ১৯ মে ইসরায়েলে পৌঁছেছিল। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতেই এই ফিলিস্তিনিদের এই সাহায্য সামগ্রী পাঠিয়েছিল আমিরাত। তবে তা প্রত্যাখায়ন করে ফিলিস্তিন। কারণ ফিলিস্তিনকে না জানিয়েই ইসরায়েলের মাধ্যমে পাঠানো হয় ওইসব সামগ্রী।
সে সময় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের জন্য সাহায্য পাঠাতে হলে অবশ্যই আগে কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। কিন্তু তা না করে তারা ইসরায়েলের মাধ্যমে সাহায্য পাঠিয়ে ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্বকে অপমান করেছে।
মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রথম ফ্লাইটের সরঞ্জাম প্রত্যাখ্যান করার পর সেগুলো কি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। দ্বিতীয় ফ্লাইটটিও প্রথমটির মতো ইসরায়েলে পৌঁছানো হবে।
ইতিহাদ এয়ারওয়াজের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের বিমানসেবা মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। যেসব অঞ্চলের মানুষ করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে খুব ক্ষতিতে পড়েছে, আমিরাতের পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে করছে তারা।
ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এমনকি গাল্ফ অঞ্চলের কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গেই ইসরায়েলের সেই সম্পর্ক নেই। এসব দেশের কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইটও ইসরায়েলে চলাচল করে না।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরানকে ঠেকানোর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে আমিরাত। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে সাহায্য সামগ্রী পাঠানোর ঘটনা তারই বাস্তব প্রতিফলন।