ইন্টারনেট-ফোনে কলরেট বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুললেন তারানা
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর আরেক দফা কর বাড়িয়েছে সরকার। এই দফার বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা গত বছরও একই হারে বাড়ানো হয়েছিল।শুক্রবার এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এ্যাডভোকেট তারানা হালিম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘গ্রাহকদের উপর ইন্টারনেট ব্যবহার ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা !!’ নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অতএব, প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার মত। এতদিন যা ছিল ২২ টাকার মতো। এদিকে, বাজেট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই গ্রাহককে মোবাইল সেবায় খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এর প্রভাব শুধু ফোনে কথা বলাতে নয়, পড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারেও। গত কয়েক বছরে ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন ব্যবসায় যারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন মোবাইল কলের এ বাড়তি হার, তাদের জন্য এখন বিষফোঁড়া। তারানা হালিম আরো লেখেন, আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধি সহ গ্রাহকদের উপর চাপ পরে এমন কোন কিছুর সাথে একমত হইনি কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেট -এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য voice ও data এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য।বিশেষ করে student দের জন্য। পরে বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার-এর প্রতি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করার অনুরোধ জানান তিনি।পাঠকদের জন্য তারানা হালিমের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল: গ্রাহকদের উপর ইন্টারনেট ব্যবহার ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা !! ----------------------------------------------------------- করোনার সময় মোবাইলে কথা বলা,ভিডিও কল,on line এ কাজ করা-এখন যেমন social distancing এ পরোক্ষভাবে অত্যন্ত কার্যকর তেমনি মানসিক সুস্বাস্হ্যের জন্য বিভিন্ন দেশ Internet এর মাধ্যমে কাজের সাথে ,স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকতে উৎসাহিত করছে জনগণকে। উল্লেখ্য যে,আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন কলরেট বৃদ্ধি সহ গ্রাহকদের উপর চাপ পরে এমন কোন কিছুর সাথে একমত হইনি কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেট -এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য voice ও data এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য।বিশেষ করে student দের জন্য। বুঝলাম না telecom service -কে করোনা কালীন সময়ে অপরিহার্য সেবা বলা হলো আবার ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বাজেটে আগের ২১ টাকার বদলে এখন কেন ২৫ টাকা করা হলো (হিসাব তাই বলে)।বর্তমান মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার -এর প্রতি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মাননীয় অর্থ মন্ত্রী মহোদয় কে অনুরোধ করার অনুরোধ রইলো।