শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি জমা দিতে অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে স্কুলগুলো, নিশ্চুপ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
করোনার এ দুঃসময়ে যখন জীবিকাযুদ্ধ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে, তখন শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি জমা দিতে অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। সাথে যোগ হয়েছে বাড়তি ফি দিয়ে আগামী মাসের শুরুতে নতুন সেশনে ভর্তির জটিলতা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের বেতন ৫০ ভাগ কমানোর দাবি অভিভাবকদের। কিন্তু পুরো ফি আদায়ে নিজেদের অবস্থানে অটল অধিকাংশ স্কুল। বিষয়টি নিয়ে কিছুই ভাবছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চারদিকে দুঃসময় এক। জীবনের পাশাপাশি জীবিকার জন্য লড়াই বাড়ছে। সঙ্কুচিত হয়ে আসছে অনেকেরই নিয়মিত আয়ের উৎস।
১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসে ক্লাস, পরীক্ষা নেই। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো থেকে অভিভাবকদের চাপ দেয়া হচ্ছে গত ৪ মাসের বকেয়া বেতন ফি পরিশোধের। কয়েকটি স্কুল এর মধ্যে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের ফি অর্ধেক করার ঘোষণা দিলেও অধিকাংশ স্কুলই পুরো বেতন না দিলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। অপারগ অভিভাবকরা ফি কমানোর দাবিতে করোনার মধ্যে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
আরো পড়ুনঃ শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ-শিক্ষকদের প্রণোদনার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা প্যারেন্টস ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, একাধিকবার দরখাস্ত দেয়ার পরও কর্তৃপক্ষ শোনেনি। প্যারেন্টস ফোরাম তাদের সাথে বসতে চেয়েছেন কিন্তু তারা রাজি হননি।
হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক কল্যান ওয়াদ্দার বলেন, করোনার সময় যখন স্কুল বন্ধ তখন টিউশন ফিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়ার সঙ্গে অনেক কিছুরই দাবি জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইমেইলে দেয়া জবাবে ডিপিএস কর্তৃপক্ষ কিস্তিতে ফি জমা দেয়ার সুযোগের কথা বলছে। পুরো বেতন পরিশোধের অবস্থানে অটল অন্য স্কুলগুলো।
হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ডা. জিন্নাহ বলেন, এখন ওদের সময় হয়েছে প্রমোশনের, প্রমোট করে দেব উপরের ক্লাসে। ১০ তারিখ থেকে ইনশাল্লাহ শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যারা যারা কষ্টে আছেন তারা যেন ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কেউ বক্তব্য জানাতে রাজি হননি।