লাদাখে ত্রিমুখী আক্রমণের বড় ছক চীনের, বিশেষ কমান্ডো পাঠাচ্ছে ভারত
লাদাখে ভারতের বিরুদ্ধে আরও বড় ষড়যন্ত্রের ছক চীনের। ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে এবার একযোগে পাকিস্তান এবং জঙ্গিদের সাহায্য চাইছে ড্রাগন।
ভারতীয় সংবদামাধ্যম সূত্রের খবর, ‘বন্ধু’র আবেদনে সাড়া দিয়ে লাদাখ সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তানও। অন্যদিকে, কাশ্মীর এবং লাদাখে ঢুকে ভারতে ‘অন্তর্ঘাত’ সৃষ্টির ছক কষছে প্রায় শ’খানেক প্রশিক্ষিত পাক জঙ্গি। মোট কথা, ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে একেবারে ত্রিমুখী আক্রমণের ছক কষে ফেলেছে ড্রাগন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গিলগিট-বাল্টিস্তান হয়ে উত্তর লাদাখ সীমান্তের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছে ২০ হাজার পাকিস্তানি সেনা। প্রয়োজনে ওই এলাকায় আরও বাহিনী পাঠাতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তান ও চীন সুযোগ পেলেই লাদাখের দুই প্রান্ত থেকে সাঁড়াশি আক্রমনের পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা সেনার সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক সেরে ফেলেছেন। সেনাকে সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে, লাদাখ সীমান্তে পাক জঙ্গি সংগঠন আল-বদরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। চীনা সেনা ওই জঙ্গি সংগঠনের সাহায্যে কাশ্মীরে নাশকতার ছক কষছে। অন্যদিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও ওই এলাকায় সক্রিয়। অন্তত ১০০ জন প্রশিক্ষিত জঙ্গিকে তাঁরা কাশ্মীরে ঢুকিয়ে দিয়ে ‘অন্তর্ঘাত’ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গোয়েন্দা সুত্রে দুই দেশের এই ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই সতর্ক হয়েছে ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, আকাশপথেও ভারতে সাঁড়াশি আক্রমণের রাস্তা আগেই তৈরি করে রেখেছে পাকিস্তান ও চীন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’-এর বা চীনা বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, কান্দানওয়ারি, রহিম যার খান ও সুককুর বিমানঘাঁটিতে মজুত রয়েছে লালফৌজের কয়েকশো জওয়ান।
জানা গিয়েছে, পাক বিমানঘাঁটিগুলিতে চীনের প্রায় ২০টি JF-17, J- 20-সহ অন্য বিমান রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে পাকিস্তানের মদতে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে ‘সেকেন্ড ফ্রন্ট’ খুলতে পারে চীন বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।