ঈদুল ফিতরের পর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হচ্ছে মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঈদুল ফিতরের পর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন আলেমরা। তারই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব শিগগিরই দেশের হিফজ মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতিও পাওয়া গেছে।
আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষ থেকে লিখিত প্রজ্ঞাপন জারির কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ঈদুল ফিতরের পর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন আলেমরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এতদিন সে অনুমতি পাওয়া যায়নি। ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসার অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। এ সময় আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই সীমিত পরিসরে হলেও কওমি মাদ্রাসা খোলার আবেদন জানান তারা।
জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাকের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ, বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা মুজিবুর রহমান।এ বিষয়ে ড. মুশতাক আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, কওমি মাদ্রাসার নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় রমজান মাস থেকে। কিন্তু আমরা বিগত শিক্ষাবর্ষটিও শেষ করতে পারিনি। এছাড়া কোরবানির ঈদে মাদ্রাসা ছাত্ররা পশু জবাইসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকেন। আমরা বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এখন শুধুমাত্র হিফজবিভাগগুলো খুলে দেয়ার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন।