২০২১ সালের মধ্যে হাতে আসবে করোনা ভ্যাকসিন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অনেক টালবাহানার পর অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল তাদের ভ্যাকসিন সহযোগী Gavi-র সঙ্গে মিলে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। তাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অন্তত ২০০ কোটি ডোজ বাজারে ছাড়া।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন সম্প্রতি এই Covax ফেসিলিটি সেশনে অংশ নিয়েছিলেন। এই উদ্যোগেরও প্রধান লক্ষ্য এই মুহূর্তে দ্রুত নভেল করোনাভাইরাসের টিকা বের করা।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জুন মাসে Gavi-র উদ্যোগে শুরু হয় Covax ফেসিলিটি। কোভিড টিকা তৈরি করার জন্যে এটি একটি অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। এই ফেসিলিটি বিমা পলিসি হিসেবে কাজ করবে, যাতে কিছু গবেষণা সফল না হলেও ভ্যাকসিন তৈরির কাজে কোনও বাধা না আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং Covax-এর তরফে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, শুরুতে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে বিশেষ করে গরিব এবং উন্নয়নশীল দেশের যাদের আর্থিক সংগতি ভালো নয়। পরবর্তী পর্যায়ে এই টিকা পৌঁছে যাবে প্রত্যেকের কাছেই।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের অন্যতম সদস্য। তিনি জানান, ভারত ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিনের যোগান দিতে পারবে। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে ভ্যাকসিন ট্রায়াল করা যায় সে দিকে নজর দিতে, কারণ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের নজর এখন করোনা টিকার দিকেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ‘ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কাজে গতি আনার চেষ্টা করছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কিছু সংখ্যক মানুষের শরীরে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
GAVI-র সিইও ডা. সেথ বার্কলে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন চুক্তির ফলে ২০২১ সালের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এই সংখ্যক ডোজ বানাতে খরচ পড়বে অন্তত ১৮০০ কোটি মার্কিন ডলার।
এখন পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া প্যাসিফিকে তিনটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এই ৯টি ভ্যাকসিনের মধ্যে ৬টি ভ্যাকসিনের ইতোমধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্যই হল প্রত্যেক দেশের অন্তত ২০ শতাংশ জনসংখ্যার কাছে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া। তবে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের।