বাগেরহাটে চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে আকবর শেখ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
বাগেরহাটের কচুয়ায় চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে আকবর শেখ (২৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অপারেশন করা চিকিৎসক কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনজুরুল আলমের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই রোগীর পরিবার-পরিজনরা।
আকবর শেখ কচুয়া উপজেলার মাধবকাটি গ্রামের আবুল বাশার শেখের ছেলে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কচুয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহতের বাবা আবুল বাশার শেখ বলেন, আমার ছেলের পেটে ব্যথা হলে ১৯ অক্টোবর তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, ছেলের অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে, অপারেশন করতে হবে।
২০ অক্টোবর সকালে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনজুরুল আলম তার অপারেশন করেন। তিনি যখন অপারেশন করেছিলেন তখন হাসপাতালে বিদ্যুৎ ছিল না। অন্ধকারের মধ্যেই অপারেশন করেন ডা. মো. মনজুরুল আলম।
অপারেশনের পর থেকে আমার ছেলে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন। একপর্যায়ে ২২ অক্টোবর কচুয়া হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কচুয়ার চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৬ অক্টোবর) আমার ছেলে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ছেলে মারা যাওয়ার পরে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের বিষয়টি জানাই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনজুরুল আলমকেও জানাই। তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে টাকার লোভ দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক চিকিৎসক ডা. মো. মনজুরুল আলমের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহত আকবর শেখের বাবা আবুল বাশার শেখ।
এদিকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাকসি গ্রামের অসিত কুমার নামের এক ব্যক্তিও ডা. মো. মনজুরুল আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ সময় অভিযোগে তিনি বলেছেন, তার শালিকা বিউটি রানীকে ভুল অপারেশন করে একটি নাড়ি কেটে ফেলেছে। বিউটি রানী এখন মৃত্যুশয্যায়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চিকিৎসক ডা. মো. মনজুরুল আলমকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত আকবর শেখের বাবা আবুল বাশার শেখ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। যদি চিকিৎসকের কোনও গাফিলতি বা অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।