কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন
আব্দুল বাছিত খান,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কালেঙ্গা গ্রামে জরাজীর্ণ ঘরে টানা বৃষ্টির পানিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। বাড়ির একমাত্র টিন বেটনের জরাজীর্ণ ঘরে ভোগান্তি নিয়েই তাদের বসবাস।
জানা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সফিক মিয়ার বাড়ী । মুক্তিযুদ্ধের সন্মাননা হিসেবে সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত তার সামরিক সনদ নম্বর ৬০৮৬৬। স্বামীর মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা দিয়েই চলে স্ত্রী আজিরুন বেগমের পরিবার।
ছেলে কামাল মিয়াসহ ছেলে বউকে নিয়ে সংসার আজিরুন বেগমের । বাড়িতে টিনের তৈরী একটি মাত্র ঘরই যা বসবাসের অনুপযোগী। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সেটি বেহালদশায় পরিনত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সফিক মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া বলেন, আমরা অত্যন্ত গরীব শ্রেণির মানুষ। দিন আনি দিন খাই।
বাড়ির একমাত্র ঘরটি বেহালদশায় পরিনত হওয়ায় অতি কষ্টে দিন পার করছি। সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির জন্য আবেদনও করেছি। একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে এ বিষয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কামাল মিয়া। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অসহায় এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শান্তিতে ঘুমোনোর ব্যবস্থা করে দিবেন এমনইটি প্রত্যাশা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সফিক মিয়ার স্ত্রী আজিরুন বেগমের।
সেই সাথে দ্রুত এর স্থায়ী আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আজিরুন বেগম। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার স্বামীর আশা পুরন হলনা এর আগেই তিনি মারা যান, একটি পাকা ঘর নির্মাণ হলে আমার স্বামীর আত্বা শান্তি পাবে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলী বলেন, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়ার বসবাস করার ঘরটি একিবারে জরাজীর্ণ অবস্থা। এ ব্যাপারে ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, তাদের ঘরের বেহাল অবস্থার কথা আমি জানি। তাদের ঘরটি সরকারের তরফে নির্মান করে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।